রাশিয়ার ছোঁড়া বোমা আর রকেটে কেঁপে উঠছে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। এর মধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনে প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকে রুশ বাহিনী সরে যাওয়ার পর বুচা শহরে ৪১০ টি মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রাশিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে গিয়ে এসব মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া দাবি করছে তারা। বুচা শহরে রুশ সৈন্যরা গণহত্যা চালিয়েছে বলে রোববার অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
বুচা শহরের রাস্তায় বেসামরিক লোকদের মৃতদেহের মর্মান্তিক চিত্র নিয়ে রাশিয়ার প্রতি নিন্দার ঝড় বইছে আন্তর্জাতিক মহলে। এ ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভ্লাদিমির পুতিনকে ফের যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে তার বিচারের মুখোমুখি করার দাবি তুলেছেন। বলেন, এ ঘটনার জন্য তার বিচারের মুখোমুখি হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, ‘এই লোকটি (পুতিন) নৃশংস। বুচায় কী ঘটেছে সেই সত্য আপনারা দেখেছেন। তিনি (পুতিন) একজন যুদ্ধাপরাধী তবে আমাদেরকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে যাতে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা যায়’।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুচা সফরে গিয়ে রাশিয়ান বাহিনীকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেন। তার দাবি, মস্কো যুদ্ধাপরাধের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। বুচা শহরে বেসমরিকদের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘে বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে জেনেলেস্কির।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা ‘বর্বর কাজ’ এবং যুক্তরাজ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার পথে এগোবে।
অন্যদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। দাবি করেছে, মরদেহের ভিডিওগুলো বানানো।